ভাষাঃ দেশের অন্যান্য স্থানের মত ইসলামপুরেও বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা প্রচলিত আছে। ইসলামপুরের মধ্যেই একক ইউনিয়নের ভাষা শৈলী ও উচ্চারণগত পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। নমুনা হিসেবে ইসলামপুরের একটি আঞ্চলিক ভাষা উল্লেখ করা হলোঃ ‘‘দেরী অব ক্যা, দন্ডেই বাজার থনে ঘুইরা আমু।’’ ‘‘তুমি যাবা না আমি যামু হেইডা আগে ঠিক কইরা কবার পাও না। ‘‘ইষ্টিরে কিছুক্ষণ বহাইয়া রাহ, বাত খিলাইয়া যাব।’’
লোক-সাংস্কৃতিক : লোকসাংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ ইসলামপুর উপজেলা। বাংলার নিজস্ব সংগীতের নানা ক্ষেত্রে যেমন জারি-সারি, ভাটিয়ালি, ধুয়া, বারোমাসী, দেহতত্ত্ব, আধ্যাত্মিক প্রভৃতি এলাকার মানুষ লালন করে। ইদানীং আকাশ সংস্কৃতির জোরালো ঢেউ এলাকায় বেশ পাকাপোক্তভাবে লেগেছে। এখানে নাচ, গান ও নাট্যচর্চা হয়। এছাড়াও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী নাচ গান শেখায়। মেয়েলি গান সাধারণত বিবাহ উপলক্ষে গ্রামাঞ্চলে হয়ে থাকে। বিয়ের সময় বর ও কনের সাথিরা প্রতিটি ঘটনার সাথে পালন করে। বর-বধুর প্রাক-বিবাহ, স্নান, বরের আগমনে কনের বান্ধবীরা বিবাহ সংগীত গেয়ে থাকে। হিন্দুদের বিভিন্ন পূজা-পার্বণ উপলক্ষে মেলা বসে। ইসলামপুর বারণী স্নান উপলক্ষে বিরাট আষ্টমী মেলা হয়। গত দশকেও সোনাভান, গাজীকালু চম্বাবতী, ছয়ফুল মুলক, বদিউজামান পুথিঁ পাঠ করা হত। এখন এসব বিলুপ্তির পথে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস