Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে ইসলামপুর

বস্থান ও আয়তনঃ

ময়মনসিংহ জেলার পশ্চিম ও শেরপুর জেলার দক্ষিণে জামালপুর জেলা অবস্থিত। জামালপুর জেলার ৭ টি উপজেলার মধ্যে ইসলামপুর অন্যতম। ইসলামপুর উপজেলার উত্তরে দেওয়ানগঞ্জ ও বকসীগঞ্জ, দক্ষিণে মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ, পূর্বে শেরপুর জেলার সদর ও শ্রীবর্দী উপজেলা এবং পশ্চিমে বগুড়া ও গাইবান্ধা জেলা অবস্থিত। ইসলামপুর উপজেলার আয়তন ৩৫৩ বর্গ কিলোমিটার।

ভূ-প্রকৃতিঃ   ইসলামপুর উপজেলার পশ্চিম পাশ দিয়ে যমুনা নদী এবং উত্তর-পূর্ব অংশের ভিতর দিযে ব্রহ্মপুত্র নদ প্রবাহিত। এ উপজেলার ভূমিরূপ প্লাবন নিম্নভূমি। এছাড়াও অসংখ্য খাল-বিল এ উপজেলায় রয়েছে। কাসা শিল্পের জন্য এই উপজেলার সুনাম ও পরিচিতি বিশ্বব্যাপী।

 

জনসংখ্যাঃ এ উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২,৮৯,৩৩৭ জন (২০০১ এর শুমারী অনুযায়ী)। পুরূষ ১,৪৮,৯৫৮ জন এবং মহিলা ১,৪০,৩৭৯ জন। তবে বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৩,৫০,০০০ জন।

 

শিক্ষার হার: এই উপজেলার শিক্ষার হার ৩৪.৪০%

 

মোট ভোটার সংখ্যাঃ  ১,৮১,২২০ জন, পুরূষঃ ৮৯,৩৩৪ জন, মহিলাঃ ৯১,৮৮৬ জন।

 

                       উপজেলার কাঠামোগত বৈশিষ্ট্যঃ

 

* পৌরসভা                                     : ০১ টি।

* ইউনিয়ন                                     : ১২ টি।

* মৌজা                                         : ৮৩ টি।

* গ্রাম                                           : ১৪৫ টি।

* ডিগ্রী কলেজ                                  : ০২ টি

* ইন্টারমিডিয়েট কলেজ                       : ০৬ টি (২ টি বালিকাসহ)

* হাই স্কুল                                       : ২৩ টি ( বালিকা ৫ টি)

* প্রাথমিক বিদ্যালয়                            : ১৫০ টি।

* মাদ্রাসা                                         : ৩১ টি।

* সরকারী হাসপাতাল                          : ১ টি।

* ১৪টি আইল্যান্ড চরে

   গ্রামের সংখ্যা                                 : ১৭ টি ।

* ১৪টি আইল্যান্ড চরের গ্রামের

   লোকসংখ্যা                                   :  ২৪,৫০০ জন ।

 

সমস্যাঃ সারা বছর ব্যাপী ব্রক্ষ্মপুত্র ও যমুনা নদীর ভাঙ্গন এই উপজেলাবাসীর সবচেয়ে বড় সমস্যা। যমুনা নদী ও ব্রক্ষ্মপুত্র নদের মত বড় দু’টি নদী একটি উপজেলার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় স্বাভাবিক বর্ষায়ও এই উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়, এতে জনজীবনে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। বন্যার সময় আইল্যান্ড চরে সেবা (বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের গমন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মীদের যাতায়াত দুর্যোগকালে ত্রাণ পৌছানো) সরবরাহ করা খুবই কঠিন হয়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য যে সকল প্রাতষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে তার বিবরণঃ

 

 

(১) হরিণধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (২) বাহাদুরাবাদ রেল স্টেশন (৩) ৫টি জামে মসজিদ (৪) বেলগাছ ইউনিয়ন ভূমি অফিস (৫) চিনাডুলি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা (৬) বীর নন্দনের পাড়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয় (৭) বিএস কোয়াটার (৮) ইউনিয় পরিষদের পুরাতন ভবন (৯) মসজিদ ০২টি এবং (১০) হাফিজিয়া মাদ্রাসা একটি (১১) হারগিলা উচ্চ বিদ্যালয় (১২) হারগিলা দাখিল মাদ্রাসা (১৩) হারগিলা সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয় (১৪) হারগিলা বিএস কোয়াটার (১৫) হারগিলা এফডব্লিউসি (১৬) হারগিলা বাজার (১৭) নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস (১৮) নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন কমপ্লেক্স (১৯) হারগিলা বাজার জামে মসজিদ (২০) শশারিয়াবাড়ী আবাসন প্রকল্প (২১) ত্রাণ দপ্তরের ১টি পাকা ব্রীজ (২২) শশারিয়া বাড়ী খানপাড়া দাখিল মাদ্রাসা। (২৩) মাইজবাড়ী কমিউনিটি সেন্টার (২৪) হরিণধরা কমিউনিটি সেন্টার (২৫) চিনাডুলি কমিউনিটি সেন্টার (২৬) কোদাল ধোয়া রেজিঃ প্রাঃ বিদ্যালয় (২৭) দক্ষিণ গিলাবাড়ী রেজিঃ প্রাঃ বিদ্যালয়। (২৮) কুলকান্দি ইউনিয়নের ২টি পাকা ব্রীজ (২৯) চিনাডুলী ইউনিয়ন কমপেস্নক্স (৩০) চিনাডুলি উচ্চ বিদ্যালয় (৩২) কড়ইতাইর সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়। এছাড়া পাথর্শী ইউনিয়নের শশারিয়া বাড়ী হতে নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের কাঠমা পর্যমত্ম ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ২৫ টি গ্রামের ঘরবাড়ী ও ফসলী জমি বর্তমানে ভাঙ্গনের নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এ উপজেলায় সারা বছর ধরে (শীতকালেও) নদী ভাঙ্গন অব্যাহতভাবে চলতে থাকে।